Iblis is the father of all jinn - ইবলিস সকল জ্বীনদের পিতা

 This subject is new to many. Again, many people already know about this subject.

The first thing that seemed surprising to me was when I first found out. Then I have discussed below what I found to be happening in this regard.

We know that Abul Jinnah Samum is the father of the jinn. Basically it is not a name, it is Sifat (fault, virtue) such as, Abul = father, Jinnat = jinn, Samum = Lu is caused by fire. That is, Lu is the father of the jinn created by fire. This does not refer to any specific person by Abul Jinnah Samum.

Now the question is who is the father of the jinn?

Answer: Iblis is the father of all jinn.

 This Iblis is also called Aduwallah or the enemy of Allah.

The original father of Iblis jinn has some logical documents on this subject: -

Verse 50 of Surah Kahf

وإذ قلنا للملائكة اسجدوا لآدم فسجدوا إلا إبليس كان من الجن ففسق عن أمر ربه أفتتخذونه وذريته أولياء من دوني وهم لكم عدو بئس للظالمين بدل

Meaning: When I said to the angels: Prostrate yourselves before Adam, they all prostrated except Iblis. He was one of the jinn. He disobeyed the command of his Lord. So do you take him and his offspring as friends instead of me? But they are your enemies. This is an evil recompense for the wrongdoers.

Note: Are you taking him and his descendants as friends instead of me?

This time let's talk about Khasiyat

The characteristic of the jinn is like Iblis, just as Iblis was arrogant and the jinn also have this characteristic of arrogance.

Verse 7 of Surah Jinn

وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِنَ الْإِنْسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقً

Meaning: And surely some people took refuge in some jinn, so they increased their arrogance.

Note: - The 1st verse proves that all the jinn are the descendants of Iblis, just as human beings are the descendants of Adam (AS).

Adam (AS) has been divided into different tribes, such as: - Quraish, Thamud, Qarni, Bhuiyan, Chowdhury, etc. But the lineage is Adam (AS) e. Just like Iblis, Iblis is the first, then all the jinns and jinns of his descendants are divided into different castes or tribes. Such as: - Khabis, Olhan, Khanzab, Ifrit, Maridb, Amir, Arwah etc.

By verse 2 it is understood that just as the father is in his disposition or character in the child, so is the disposition of Iblis in his offspring. Exactly the descendants of Adam (pbuh) mean that we have the nature of Adam (pbuh), that is uncontrollable. (Sahih Muslim)

Simply put, you are more angry, why am I a little less angry? The reason is that you are not of my tribe, I am not of your tribe. But one thing we both have in common is the lack of control, which was in Adam (pbuh). But when I was doing it, we were not in control. The same is true of the descendants of Iblis, the arrogance that comes from Iblis.

Besides, in Surah Araf, who is Satan Allah?

   He said, "I am better than you who created me from fire and created me from clay."

 He said, ‘I am better than him. You created me from fire, and created him from clay.

You will see in the above verse that Satan is directly comparing himself with Adam. Usually the origin of creation is always dragged to compare the last element of creation. Here Iblis goes on to compare the basic elements of creation.

And if Iblis had a father or a mother or if he had an original father, then it must have been described in the Qur'an and Hadith, but it did not happen.

Now let's go straight to the document,

In his Tafseer Ibn Kathir, in the Tafseer of verse 12 of Surah A'raf, Imam Ibn Kathir (R) brought a hadith from Sahih Muslim and said:

The angels are made of light, Iblis is made of fire, Adam is made of clay.

He goes on to describe the original source of creation and quotes Iblis. It is understood that he agrees that Iblis is the first of the jinn.

In the Tafsir Durre Mansur Kitab, Imam Abu Ashayekh (R) and Abu Saleh (R) have imitated and said exactly the same thing.

In Tafseer, far away in Mansur, Imam Ibn Jarir said: Iblis is the origin of the jinn, just as Adam (AS) is the origin of man.

Imam Ibn Jarir (may Allah be pleased with him) said: Iblis is the father of the jinn as Adam (peace be upon him) is the father of man.

Explaining verse 50 of Surah Al-Kahf, Ibn Zayd (may Allah be pleased with him) said in his commentary on Tabari that he (Iblis) is the father of jinn like Adam (peace be upon him) is the father of man.

In Fath al-Bari, Badaul Khalq's paragraph on the jinn states that their (jinn) origin must have been Iblis. And those among them (the jinn) who are disobedient are called Satan. And the devil is the devil.

Fathul Bari is called in Kitabul Ambia. At one point in the marriage of Abel Cain, Hazrat Askalani (RA) said that Iblis, the father of all jinn.

In the book Al Bidaya wan Nihaya, Hasan Basri (R) also said that Iblis was not an angel even for a moment, he was the original jinn like Adam (AS) the original man.

Imam Ibn Taymiyyah has stated in his fatwa that Iblis is the father of all jinn.

(Majmoo Fatwa, pp. 235 and 346)

On the other hand, some people claim that Iblis was taken up to heaven by the angels as a child, while the jinn were being expelled from the earth.

But Iblis is the one who drives the jinn from the land with the angels under his leadership and since then his arrogance has increased.

(Tafsir of Tafsir Tabari Surah Bakbara, verse 30, and the book of Jalaluddin Suyuti (R) The Wonderful History of the Jinn Nation)

It took me about 3 weeks to write this topic

অনেকের কাছেই এই বিষয় টা নতুন।আবার অনেকেই এই বিষয়ে আগে থেকেই জানেন।

আমার কাছে প্রথমে অবাক করা বিষয় মনে হয়েছিলো যখন আমি প্রথম জানলাম। অতঃপর এই বিষয়ে ঘাটতে ঘটতে যা পেলাম তা নিম্নে আলোচনা করেছি।

আমরা জানি আবুল জিন্নাত সামুম হচ্ছে জ্বীন দের পিতা। মুলত এটা কোন নাম না এটা হচ্ছে সিফাত (দোষ,গুন) যেমন, আবুল = পিতা, জিন্নাত= জ্বীন দের, সামুম = লু আগুনের সৃষ্ট। অর্থাৎ ঃ- লু আগুনের সৃষ্ট জ্বীন দের পিতা। এই আবুল জিন্নাত সামুম দ্বারা কোন নির্দিষ্ট কাউকে বুঝায় না।

এখন প্রশ্ন তাহলে জ্বীন দের পিতা কে?

উত্তরঃ- ইবলীস হচ্ছে সকল জ্বীন দের পিতা।

এই ইবলীস কে আদুওয়াল্লাহ বা আল্লাহ'র দুষমনও বলা হয়।

ইবলীস জ্বীন দের আদি পিতা এই বিষয় কিছু যৌক্তিক দলিলঃ-

সুরা কাহফ আয়াত ৫০

وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ أَفَتَتَّخِذُونَهُ وَذُرِّيَّتَهُ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِي وَهُمْ لَكُمْ عَدُوٌّ بِئْسَ لِلظَّالِمِينَ بَدَلً

অর্থঃ- যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললামঃ আদমকে সেজদা কর, তখন সবাই সেজদা করল ইবলীস ব্যতীত। সে ছিল জিনদের একজন। সে তার পালনকর্তার আদেশ অমান্য করল। অতএব তোমরা কি আমার পরিবর্তে তাকে এবং তার বংশধরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করছ? অথচ তারা তোমাদের শত্রু। এটা জালেমদের জন্যে খুবই নিকৃষ্ট বদল।

নোটঃ- তোমরা কি আমার পরিবর্তে তাকে এবং তার বংশধরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করছ?

এইবার আসি খাসিয়ত সম্পর্কে

জ্বীন দের খাসিয়ত ইবলিশের মত যেমন ইবলিশ ছিলো অহঙ্কারি আর জ্বীন দের মধ্যেও এই অহঙ্কারের খাসিয়ত রয়েছে।

সুরা জ্বীন আয়াত ৬

وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِنَ الْإِنْسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقً

অর্থঃ আর নিশ্চয় কতিপয় মানুষ কতিপয় জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা তাদের অহংকার বাড়িয়ে দিয়েছিল।

নোটঃ- উক্ত ১ম আয়াত দ্বারা প্রমানীত হয় সকল জ্বীন হচ্ছে ইবলীস এর বংশধর, যেমন মানুষ আদম (আঃ) এর বংশধর।

আদম (আঃ) এর থেকে বিভিন্ন গৌত্রে বিভক্ত হয়ে গেছে, যেমনঃ- কুরাইশ, সামুদ, ক্বারনী, ভূইয়া, চৌধুরী ইত্যাদি।কিন্তু বংশ ধর হচ্ছে আদম (আঃ) এর ই। ঠিক ইবলীসেরও তেমনই ইব্লীস হচ্ছে প্রথম তারপর তার বংশধর সকল জ্বীন এবং জ্বীন রা বিভিন্ন জাত বা গৌত্রে বিভক্ত হয়। যেমনঃ- খবীস, ওলহান, খানযাব, ইফ্রিত, মারিদ্ব,আমির, আরওয়াহ ইত্যাদি।

২য় আয়াত দ্বারা এটাই বুঝা যায় যে, যেমন পিতা তার স্বভাব বা চরিত্র সন্তানের মধ্যে থাকে, ইবলীস এর যেমন স্বভাব অহঙ্কার ছিলো ঠিক তেমনি তার বংশধরের মধ্যেও আছে। ঠিক আদম (আঃ) এর বংশধর মানে আমাদের মধ্যে আদম (আঃ) এর স্বভাব রয়েছে, তা হল নিয়ন্ত্রণহীনতা। (সহিহ মুসলিম)

আরও সহজ করে বলি, আপনি বেশি রাগি আমি একটু কম রাগি কেন? কারণ হচ্ছে আপনি আমার গৌত্রের না আমি আপনার গৌত্রের না। কিন্তু আমাদের ২ জনের মধ্যেই একটা বিষয়ে মিল আছে তা হলো নিয়ন্ত্রণহীনতা, যা ছিলো আদম (আঃ) এর, যেমন, আমরা এমন কাজ এমন কাজ করি যা করার পর চিন্তা করি হায় হায় কেন করলাম? কিন্তু যখন করছিলাম।তখন আমরা নিয়ন্ত্রণেই ছিলাম না। ঠিক ইবলিসের বংশধরের বিষয় একই তা হলো অহঙ্কার যা আসছে ইবলীস থেকে।

এছাড়া সুরা আরাফ এ শয়তান আল্লাহ কে বলে

قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِنْهُ خَلَقْتَنِي مِنْ نَارٍ وَخَلَقْتَهُ مِنْ طِينٍ

সে বলল, ‘আমি তার চেয়ে উত্তম। আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে।

উল্লেখিত আয়াতে দেখবেন, শয়তান সরাসরি আদম (আঃ) এর সাথে নিজের তুলনা করছে। সাধারণত সৃষ্টি গত উপাদানের তুলনা করতে যেয়ে সব সময় সৃষ্টির মুল কে টেনে আনা হয়। এইখানে সৃষ্টির মুল উপাদানের তুলনা করতে যেয়ে ইবলীস নিজের কথাই তুলে ধরে।

আর ইবলীস এর যদি পিতা মাতা থাকতো বা কোন আদি পিতা থাকলে তাহলে তা অবশ্যই কুরআন ও হাদিসে বর্ণনা হতো কিন্তু তা হয়নি বরং সৃষ্টির মুল হিসেবে বারবার ইবলীস এর পক্ষেই আয়াত গুলো দাঁড়ায়।।

এখন আসি সরাসরি দলিলে,

তাফসিরে ইবনে কাসীরে সুরা আরাফ এর ১২ নং আয়াতের তাফসিরে ইমাম ইবনে কাসীর (রহঃ)সহিহ মুসলিম এর এক হাদিস এনে বলেন,

ফেরেশতা রা নূররের তৈরি, ইবলীস আগুনের তৈরী, আদম (আঃ) মাটির তৈরি।

তিনি সৃষ্টির মুল উৎসের উপাদান বর্ণনা করতে যেয়ে ইবলীস এর কথা আনেন। এর মধ্যে বুঝা যায় তিনি এই বিষয়ে একমত যে জ্বীন দের প্রথম হচ্ছে ইবলীস।

তাফসিরে দুররে মানসুর কিতাবে ইমাম আবু আশশায়েখ (রহঃ) ও আবু সালেহ (রহঃ) এর নকল করে হুবুহু একই কথা বলেছেন।

তাফসিরে দুররে মানসুরে ইমাম ইবনে জারীর রহঃ বলেন ইবলিস হচ্ছে জ্বীন দের মুল যেমন আদম (আঃ) মানুষের মুল।

ইমাম ইবনে জারীর (রহঃ) বলেন ইবলিস হচ্ছে জ্বীন দের পিতা যেমন আদম (আঃ) মানুষের পিতা (দুররে মানসুর)

সুরা কাহফ এর ৫০ নং আয়াতের ব্যাক্ষায় তাফসিরে তাবারী তে ইবনে যায়েদ (রঃ) বলেন, সে (ইব্লিস)হচ্ছে জ্বীন দের পিতা যেমন আদম (আঃ) মানুষের পিতা।

ফাতহুল বারী তে বাদাউল খল্ক এর জ্বীন সম্পর্কিত অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে নিশ্চয়ই তাদের (জ্বীন) উতপত্তি হচ্ছে ইবলিস। এবং তাদের (জ্বীন) মধ্যে যারা অবাধ্য তাদের বলা হয় শয়তান। এবং ইবলিসের খাস হচ্ছে শয়তান জ্বীন।

ফাতহুল বারি কিতাবুল আম্বিয়া তে বলা হয়। হাবিল কাবিল এর বিয়ের বিষয়ে এক পর্যায়ে হযরত আসকালানি (রহঃ) বলেন সকল জ্বীন দের পিতা ইবলীস।

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া কিতাবে হাসান বসরি (রহঃ) ও বলেন, ইবলিশ এক পলকের জন্যও ফেরেশতা ছিলো না সে ছিলো আদি জ্বীন যেমন আদম (আঃ) আদি মানব।

ইমাম ইবনে তাইমিয়া তার ফতোয়াতেও এই একই কথা তুলে ধরেছেন যে, ইবলীস সকল জ্বীন দের পিতা।

(মাজমু ফতোয়া, ২৩৫ ও ৩৪৬ নং পৃঃ)

অপর দিকে কিছু ব্যাক্তি দাবি করে ইবলীস কে ফেরেশতা রা শিশু কালে আসমানে উঠায়া নিয়ে যায়, যখন জ্বীন দের জমিন থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছিলো।

কিন্তু ইবলীসই হচ্ছে সে যে তার নেতৃত্বে ফেরেশতাদের নিয়ে জ্বীন দের জমিন থেকে বিতাড়িত করে থাকে আর এর পর থেকেই তার অহঙ্কার বেড়ে যায়।

(তাফসিরে তাবারী সুরা বাক্বারা ৩০ নং আয়াতের তাফিসির, ও জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহঃ) এর কিতাব জ্বীন জাতির বিষ্ময়কর ইতিহাস)

এই বিষয় টা লিখতে আমার প্রায় ৩ সপ্তাহ লেগে গেছে, উল্লেখিত কিতাব ছাড়াও আরও অনেক কিতাবে ইবলীস জ্বীন দের পিতা উল্লেখিত রয়েছে। এবং কুরআন এর আয়াত গুলো বিশ্লেষণ করলেও একই বিষয়ে উপনীত হওয়া যায় যে ইবলীস জ্বীন দের পিতা।

এবং এই বক্তব্যের বিপরিতে কোন উলামায়ে কেরাম।দ্বিমত পোষণ করেছে এমন কিছুই আমি পাইনি।

এছাড়া বাকি যত কিছু পাওয়া যায়, যেমন ইবলিসের পিতা তারানুস, তারানুসের পিতা সুমাহ এইগুলা সব ইহুদি দের বক্তব্য ব্যাতিত আর কিছুই না।।